সততা ও অবিশ্বাস সাথে জন্ডিসের টিকা


সততা ও অবিশ্বাস সাথে জন্ডিসের টিকাঃ

তানভীর মেহেদী


আজকে সোমবার, সকাল সকাল ঘোম থেকে উঠিয়া নিজের দাত মাজিয়া, হাত মোখ ধুইয়া যেই আবার বিছানায় গিয়া নিজের শরীরটারে ছারিয়া দেবার বন্দবস্ত করিতেছিলাম ঠিক সেই সময় আমার মা ডাকিয়া বলিল সকালের নাস্তাটা করিয়া নে, বেলা যে অনেক গরাইল। নাস্তা শেষ করিয়া মনে মনে ভাবিতে লাগিলাম আমার ২য় বছরের পরীক্ষার আর বেশি মাএ দিন বাকি নাই, এখন সময় হইল খাতা কলম লইয়া ইনভেস্টমেন্ট এর উপর ঝাপাইয়া পরা।


হাতের সামনে খাতা কলম, স্কেল লইয়া মনের ভিতরে বিশেষ একটা জোর লইয়া বইয়ের নানা প্রকার অংকের সমস্যা সমাধান করিবার জন্য উঠিয়া পরিয়া লাগিলাম। বিশেষ কয়েকটা সমস্যা সমাধান করিবার পর মনে হইল না আজকে অনেক হয়ে গেছে আজকের জন্য এতটুকুই যথেস্ট। তারপর কলম আর খাতা নিয়া নানা প্রকার উৎভট আকিবোকি করিতে লাগিলাম। মনে মনে কিছু লোককে গালাগালীও করিতেছিলাম তাহাদের নিজেদের দোষের কারনে।


এইবার হল কি আমার বন্ধু আসিফ নানা সময় নিজের শরীরে জন্ডিসের জিবানু লইয়া নানান জায়গার পানি খাইয়া নিজের শরীর থেকে নানান ভাবে চেষ্টা করিয়াও যখন জন্ডিসের জিবানু তারাইতে পারিল না তখন কেস জন্ডিস হবার আগে সে ডাক্তারের কছে গিল টিকা নেওয়া শুরু করিল।


আজকে সকাল ১০ টার সময় সে আমাকে ফোন করিয়া বলিল যে সে টিকা দিতে পিজি তে যাবে, তাহার সহীত আমাকে যাইতে হইবে।


সকাল বেলা দুইজনে মিলিয়া বাসে চরিয়া কাজীপারা হইতে রওনা দিলাম। আমাদের বাসের মধ্যে উঠিতা যাইবার সময় ছোটকঘাট একটা যুদ্ধ সারিয়া ফেলিলাম। বাসে উঠে চলে গেলাম শাহবাগস্থ হাসপাতালে।


হাসপাতালের যিনি এই রোগের টিকা দেন তিনি হয়ত ছিলেন নতুন, তার কোন অভিগ্গতা তেমন ছিল না। নিয়ম হল তার কাছে যাবার পর তিনি কাগজে বিল করে দিবেন সেটা ব্যাংক এ জমা দিয়ে তার কাছে রসিদ নিয়ে এসে টিকা দিবেন। কিন্তু তিনি কি করলেন আসিফের হাতে পুরাতন মানে আগের বারের রসিদ দেখিয়া টাকা পয়সা কিছু না লইয়া টিকা দিয়ে দিলেন। আমরা সেটা বোজলাম যে মহিলা একটা বড় মাপের ভূল করে ফেলেছে, সেটা নিয়ে ডিসকাস করতে করতে চেম্বারের বাইরে বেড়িয়ে এলাম। তারপর দীর্ঘ এক আলোচনার পর স্থির হল আমার রোগ নিয়ে এই দুই নাম্বারিটা করব না, আমরা আবার সেই মহিলার কাছে ফেরত গেলাম, মহিলাকে বললাম তার ভুলের কথা সে শোন বেস খূসি হল, আমাদের বলল আপনারা বেস সৎ লোক, আমাকে ৫৭০ টাকা লসের হতের থেকে বাচিয়ে দিলেন। 


আমাদের এই সততা দেখে পাশে বসে থাকা সুন্দরি মহিলা ডাক্তার বেশ খুসি হয়ে আমাদের চেহারার দিকে বেস সময় ধরে  তাকিয়ে ছিলেন। মনে হল তিনি তার জীবনে আর কোন ভাল লোক দেখেন নাই, নিজের বেস গুরুত্বপূর্ন মনে হতে লাগল। বাস আমরা তার পর বাসায় চলে এলাম। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ