নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য


নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্যঃ


নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, তার বিখ্যাত একটি উক্তি হচ্ছে - 


"তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দিব"


তিনি মূলত ব্রিটিস দের কাছ থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য বিখ্যাত। তিনি ভারতের সেনাবাহিনির প্রতিষ্টাতা বলা চলে। তবে এই লোকটির সবচাইতে বড় ঘটনা হল তার মৃত্যু রহস্য। তিনি কবে কখন কিভাবে মারা গেছেন তা আজও কেউ যানে না, সবার কাছে তা এক জ্বলন্ত রহস্য। 


ভারত সরকার তার মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করার জন্য এ পর্যন্ত ৩ টি কমিশন গঠন করে ফেলেছেন, তাদের মধ্যে ২ টি তদন্ত বলেছে ১৯৪৫ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে বন্দি থাকা অবস্থায় একটি বিমান দূর্ঘটনায় তিনি মারা গেছেন। কিন্তু পরে খবর পাওয়া গিয়েছে যে সেদিন ঐ এলাকাতে কোন বিমান দূর্ঘটনাই হয় নাই। তাহলে তিনি সেখানে বন্দি অবস্থায় থাক কালিন সময় কোথায় চলে গেলেনে। তিনি যদি ছারা পেতেন তবে তিনি নিশ্চই ফিরে আসতেন তার লোকদের কাছে। অথবা কেউ তার ফিরে আশা বা জেল থেকে মুক্তি পাবার ব্যাপার টা জানতেন। তবে তিনি কোথায় গেলেন। 


আবার আরেকজন লোক, যিনি দাবি করেন তিনি "আজাদ হিন্দ" এর একজন সদস্য আর নেতাজির গাড়ির ড্রাইভার, তিনি বলেছেন যে তিনি নাকি ১৯৪৫ এর নেতাজির বিমান দূর্ঘটনায় মৃত্যুর ৬ মাস পর নেতাজিকে মায়ানমার থাইলেন্ড সীমানার কাছের একটি নদীর কাছে নামিয়ে দিয়েছিলেন। তার পর নেতাজির ভাগ্যে কি ঘটেছিল সেটা আর তিনি বলতে পারেন না।যদি সে নদীর তীরে নামিয়ে থাকে তবে তিনি বিমান দূর্ঘটনায় মারা গেছেন এ ধরনের রটনা কোথা থেকে আসল। 


তাহলে কি তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন। নাকি তিনি মায়ানমার বা থাইলেন্ডে কার হাতে মারা পরেছিলেন। কিন্তু সেটা হবার কথা না, কারন তখন তিনি ছিলেন সবার নয়ন মনি। নাকি এটি একটি চক্রান্ত।  নেতাজির আরোও একটি ঘটনা হল ভারতীয়রা নেতাজির চিতাভষ্ম রেনকোজি নামের একটি মন্দিরে রেখে দিয়েছেন, কিন্তু কথা হল যার কিভাবে কোথায় মৃত্যু সে খবরটিই যানা নাই সেখানে চিতাভষ্ম কিভাবে সম্ভব। পরে যানা যায় সেখানে রাখা চিতাভষ্ম নেতাজির ছিলই না। সেগুলি সব মিথ্যা। সুতরাং বলা চলে যে ভারতের এ নেতা কিভাবে মারা গেছেন সেটা তিনি নিজেই নিজের সাথে নিয়ে গেছেন। দুনিয়াকে কিছুই যানিয়ে যান নি। তবে কিছু কিছু ভারতীয় মনে করেন যে নেতাজি নাকি এখন মারা যান নি। তিনি বেচে আছেন।   


প্রায় বিশ বছরের মধ্যে সুভাষ চন্দ্র মোট ১১ বার গ্রেফতার হয়েছিলেন। ১৯৩০ সালে তাকে ইউরোপে নির্বাসিত করা হয়। তিনি কিন্তু এত্ত সব কিছুর মাঝেও ১৯৩৪ সালে প্রথম প্রেম পরেছিলেন এমিলি সেচঙ্কল এর সাথে ভিয়েনাতে। ১৯৩৭ সালে তারা ব্যাড গ্যাস্টিনে বিয়ে করেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

ধন্যবাদ আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য