আঞ্চলিক ভাষা কোন ঠাট্টা নয়



আঞ্চলিক ভাষা কোন ঠাট্টা নয়

তানভীর মেহেদী


আঞ্চলিক ভাষা কোন ঠাট্টা বা মজার বিষয় নয়। আমাদের দেশে যে দুটি ভাষা নিয়ে সবচেয়ে বেশি হাসি তামাশা হয় সেটি হল নোয়াখালি আর বরিশালের ভাষা, কারন তারা নিজেকে বলে আ্ই, আর পানিকে বলে হানি। আবার ঢাকাইয়া ভাষাটাও কম যায় না। তবে নাটকে ইদানিং ময়মনসিংহের ভাষা ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আসলেইত, অনেকে এই বলে অনেককে ক্ষেপান যে, সে বলে আই কি কইচ্চি, আর পানিকে হানি, কিন্তু বলার, আর ভাবার মত আসল কথা হল লজ্জা বা ভয়ের কারনে আন্চলিক ভাষা ঘষে মেজে অশুদ্ধ ভাবে শুদ্ধ করার কোন মানে হয় না। নিজে যখন প্রথম বলতে শিখলেন তখন যে ভাষায় কথা বলেছেন সেটি মুলত আপনার নিজের মাতৃভাষা, হয়ত আপনি বাংলা ভাষাতেই বলেছেন, তবে হতে পারে সেটি কোন একটি অন্চলের ভাষা, বড় হয়ে আপনি সেই প্রথম শিখা ভাষাটি ভুলে গেলেন সেটি মোটেও ভাল ব্যাপার না। কোন আঞ্চলিক ভাষা ছাড়া কোন ভাষাই মিষ্টতা লাভ করতে পারে না। 


এখন আসি আমার কথায়, আমি নিজে কুমিল্লার বাসিন্দা, জন্মটাও হয়েছে কুমিল্লায়। আর আমাদের কুমিল্লায় কয়েক কিলোমিটার পর পর ভাষার এতটাই ব্যবধান যে চিন্তা করাই মুসকিল, বাংলা ভাষা যে এত রকমের হতে পারে সেটি আমাদের কুমিল্লায় না গেলে আপনারা কিছুই বুঝবেন না। তবে সে ধরনের কোন আঞ্চলিক ভাষায় আমি পরি নাই, কারন আমি কুমিল্লার যে স্থানের বাসিন্দা ছিলাম, সেখানে আন্চলিকতার প্রভাব তেমন নাই, তবে এমন অনেক শব্দ আছে যা আন্চলিকতা নির্দেশ করে, যেমন , কিতারে তুই কই যাছ............এ জাতিয়.......তেমন কোন অতিরিক্ত কিছু নাই, তাই আমি মনে মনে মাঝে মাঝে আন্চলিক ভাষাটা মিছ করি। তবে আমার গ্রামের থেকে একটু, মানে কয়েক কিমি গেলেই ভাষার এমন টান যে আমিই কিছু বুঝি না।


সুতরাং সব কথার শেষ কথা হল, নিজের আঞ্চলিক ভাষাকে ব্যবহার করুন, প্রয়োগ করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ