স্বপ্নেও আড়ি ছিলো


স্বপ্নেও আড়ি ছিলো

তানভীর মেহেদী


প্রতি রাতের মতো গত রাতেও নিজের তুলতুলে শিমুল তুলা ভর্তি বালিশটায় মাথা রেখে, ফোনটা চার্যে দিয়ে, মশারির ভিতরে কোন মশার অস্থিত্ত না রেখে, টিউব লাইট টা বন্ধ করে, হালকা নীল রং এর এলইডি ডিম লাইট টা জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পরেছিলাম। ঘুমের মধ্যে কখন যে আমি আচমকা হাটতে হাটতে বাইরে চলে আসলাম ঠিক বোঝলাম না। আমার পরনে এখন দেখতে পাইতেছি খয়েরি লাল রং এর একটা পান্জাবি, কিছু কিছু যায়গাতে পান্জাবি ভিজে গেছে ঘেমে। মাথার উপর ফাগুনের আগুন রোদ, চোখে মোখে একটা উৎকন্ঠা, কারো জন্য অপেক্ষা করছি আমি। বারবার নিজের হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয় সময় পরিক্ষা করছি, কিন্তু এখনো বোঝতে পারছি না আমি ঠিক কার জন্য অপেক্ষা করছি। কি জ্বাল ঘুমের মধ্যেও শান্তি নাই, যা হবার একটু তারাতারি কেনো হচ্ছে না।


আচমকা চোখ দুইটা ডান দিকের ফুটপাথের দিকে ঘুরাতেই দেখতে পেলাম বাসন্তি রং এর একটা শাড়ি বেশ  গুছিয়ে পরে, হাতের লাল কাচের চুড়ি রিন রিন ঝিন ঝিন করে বাজাতে বাজাতে কেউ একজন আমার দিকে আসছে। তাহাকে দেখে পথের ধুলিকনা গুলাও আনন্দে উড়তে শুরু করে দিয়েছে। একনো ঠিক মুখটা দেখা যাইতেছে না। না দেখেই ঘুমের ভিতর প্রেমে পরে যাবো এমন একটা ভাব চলে এলো আমার। কিছুটা কাছে আসার পর দেখলাম এ আর কেউ নয়, এইতো হেতাইন, তারে তো চিনি আমি। ঘটনা কি আজাইরা এই দুপুরের গরমে শাড়ি চুড়ি পরে কোথায় যাবার ধান্ধা করছে এই সুন্দুরি।


আর আমারো কি কাজ নাই আর কোন?  রাত ২ টা বাজে আমি কোন দুঃখে এখানে ওর জন্য দাড়ায়া আছি। যদিও এখন রাত না দিন, একেবারে ভর দুপুর।  ঘড়ির দিকে আরো একবার তাকিয়ে, চারিদিকটা দেখে নিলাম। হেটে আসতে আসতে আমার দিকে এমন কটমট করে তাকাচ্ছে কেনো ও, এমন টানা টানা দুইটা চোখ গোল গোল করে আমাকে ভয় দেখানোর কি আছে। এভাবে আগুন সাজ দিয়ে কেউ এমন কটমট করে তাকায় নাকি। আমাকে দেখেই ও তাড়াতাড়ি করে সামনে দাড়িয়ে থাকা একটা খালি রিক্সায় উঠে বসে পরলো। আরে আরে ও রিকশায় কেনো উঠলো,  এই অবেলায় বেটা রিক্সা ওয়ালা ডলারে ভাড়া চার্য করবো, আমার পকেটে এনমিতেই চৈত্রের ঘরা লেগে থাকে সব সময়, আর আজকে দেখি বৈদেশিক মুদ্রার দরকার পরে গেলো। আমিও দৌড়ে ঐ রিক্সায়  উঠে বসলাম।  সে আবারো কটমট করে বড় বড় চোখ করে আমার দিকে তাকাল, আমি উদাস ভাবে তার চোখের ভিতর আমার প্রতিচ্ছবি দেখছিলাম - নিজেকে খুব নিরহ লাগছিল। মনে হচ্ছে যেকোনো সময় আমি নিজেকে রাস্তায় গরাগরি খেতে দেখবো। মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ যিকির করতে শুরু করলাম, এ বিপদ থেকে বাচাও খোদা।


আচমকা কেউ বলে উঠলো,  "আফা কই যাইবেন"? রিক্সাওয়ালা বলল।। আমি বা দিকে তার দিকে তাকিয়ে তাকে বললাম কোথায় যাবে? সে আবারো কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে রেগে বলল, জাহান্নামে।। আমি আবারো তার চোখের কালো মনিতে নিজের প্রতিচ্ছবি  আবিষ্কার করলাম, তারপর রিকশা ওয়ালাকে বললাম, মামা র্যাব( RAB) -০২ এর অফিসে যাও। ও বলল RAB এর অফিসে কেনো যাবা। আমি বললাম, এখানে গিয়ে তুমি একটু কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকবা, আর বানিয়ে দুটু অভিযোগ করে দিবা। তারপর দেখবা চোখের সামনে আমি কালো কালো কতগুলা হাবিয়া দোযখ দেখবো। ও বললো, ঠিক আছে, হাবিয়া দোযখেই চলো মামা। আমি বললাম সত্যি যাবে, ওখানকার কালো পোষাক ধারি রা কিন্তু ডেন্জারাস, লাল পান্জাবি আর বাসন্তি রং এর শাড়ি পরা সুন্দুরি কে দেখে রসিকতা ভেবে দুজনকেই না হাবিয়া দোযখ পরিদর্শন করতে পাঠিয়ে দেয়। আবারো চোখ কটমট করে বলল, তোমাকে দিবে, আমাকে না, লাল পান্জাবিতে তোমাকে এখনি গুন্ডা গুন্ডা মনে হচ্ছে। আফা RAB এর অফিসের দিকে যামু না, ঐখানে গেলে রিকশার চাকা ফুটা কইরা দেয়, অন্য কোন দিকে গেলে বলেন।...... আমি বললাম, তাহলে হাবিয়া দোযখে চলো......আবারো কটমট করে তাকাচ্ছে কেন, এইভাবে তাকালে দুঃস্বপ্ন ভেবে আমার ঘুমটা ভেংগে যেতে পারে ত। 


রিকশা চলছে, বেটা কিছু বলছে না, কোথায় যাবে, কোন দিকে যাবে। নিজের মনের মতো রিকশা চালাইতেছে। এমনিতে বাইরে আগুন গরম, তার উপর রিকশার হুড খোলা, মাথার চুলের উপর দিয়ে ধুয়া হয়ে মগজের গলিতো প্রোটিন উরে যাইতেছে। পাশে বসে থাকা সুন্দুরীর কোন কথা বার্তা নাই। মনে হয় ঝর এর পূর্ব মুহূর্ত চলছে, যেকোন সময় কালবৈশাখি শুরু হবে এই ফাগুনে। মনে মনে চারিদিক থেকে টেনে টুনে মেঘ সংগ্রহ করতেছে। তারপর সব মেঘ একসাথে আমার মাথার উপর ঝরাবে, সাথে বড় বড় সাইজের শীল পরবে মাথায়, মাথায় আলু ক্ষতের চাষ হবে আজ। 


- এই যে শুনছেন, আমরা কোথায় যাইতেছি ?


- তোমার এত কথা শুনে কাজ কি চুপ করে বসে থাকো, গেলেই দেখতে পাবে। 


- না মানে অনেক-ক্ষন ধরে রিকশা চলছে তো।


- তো কি হইছে, চিন্তা করো না, রিকশা ভাড়া তোমাকে দিতে হবে না। আমিই দিবো। 


হাফ ছেরে বাচলাম, আজকের দিনে চাইনিজ খাবার মতো টাকা আমার পকেটে থাকলেও রিকশা ওয়ালার মন জয় করার মতো ভাড়া আমার কাছে নাই। তাকে যতই টাকা দেই না কেনো সে করুন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকবে। 


- রিকশা থামো থামো।


কি ব্যাপার এখানে থামতে বলছে কেনো, এইটা তো একটা রাস্তার গলি, এখানে কি হবে। আবার এত নিরব একটা গলি, গুন্ডা দিয়ে পটিানোর ধান্ধা করে নাই তো আবার। নেমে ঝেরে একটা দৌড় দিবো নাকি। না তেমনটা কেনো হবে, দেখি না সামনে কি হয়, বার বার প্রশ্ন করতে গেলে সমস্যায় পরতে পারি, আজকে সেযে গুজে আসলেও মেজাজের বারটা বাজিয়ে এসেছে। কিছু বলতে গেলে খবর করে ফেলবে। চুপচাপ থেকে ভদ্রতা বজায় রাখাই ভালো।


- তুমি কিছু বলতেছো না কেনো, এইভাবে চুপ করে বসে আছো, অন্যদিন তো কানের পোকা বের করে দেও, আজকে কি হইছে। 


- না মানে আজকে আমার গলা ব্যাথা, তাই কিছু বলতে পারছি না ঠিক মতো, মানে গত রাতে ঠান্ডা আইসক্রিম খেয়েছিলাম তো তাই আরকি। 


- আজকেই তোমার গলা ব্যাথা হতে হলো, থাক বেশি কথা বলার দরকার পরবে না, ছোট একটা কথা বললেই হবে, মুসলমানদের মন্ত্র তন্ত্র পড়তে হয় না, সামান্য কথাতেই কাজ হয়ে যায়। 


- মানে কি, তুমি কি বলছো, মন্ত্র পড়তে হবে কেনো ?


- চুপ থাকো, এত কথা কেনো বলতেছো, তোমার না গলা ব্যাথা, পরে গলা বসে গেলে বিপদ, আর দাড়াতে চাইবে না। 


- গলা বসে গেলে বিপদ কেনো হবে?


- হবে হবে কারন আছে, তুমি চুপ থেকে শুধু দেখে যাও, প্রশ্ন কম করো। 


- আমরা এই গলি দিয়ে কোথায় যাইতেছি ?


- আমার এক বান্ধবির সাথে দেখা করতে যাইতেছি, তুমি তোমার পান্জাবির কলার ঠিক করো। 


- কোন বান্ধবি আবার এখানে থাকা শুরু করলো, আমার কিন্তু ভয় লাগতেছে, তোমার মতলব টা কি বলতো ?


- তোমার কেনো ভয় লাগতেছে, ভয় পাবার কিছু নাই, চুপচাপ থাকবা, লম্ফ ঝম্প করতে যাবা না, গেলে ভয় দেখানোর ব্যাবস্থা আছে কিন্তু। 


কিছুই বোঝতে পারছি না, এই মেয়ের মাথায় কি হচ্ছে। কি করতে চাইতেছে, এই গলির কোন রাস্তা আমি চিনি না, আগে কখনো এখানে আসি নাই। কিছুক্ষন পর একটা বড় সাদা রং এর বিল্ডিং এর সামনে এসে থামলো, তারপর ডানে বায়ে তাকাতে শুরু করলো, আমার কোন কিছু করার নাই, তাই আর কি করবো তাহার চেহারা দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। 


- কি হলো এভাবে আমার দিকে তাকাচ্ছো কেনো বারবার, তোমাকে হাদা রাম দেখায় এভাবে তাকালে।


- কেউ কি আসার কথা এখানে, তুমি বারবার কাকে খুজতেছো এদিক উদিক তাকিয়ে ?


- তুমি ত বেশ ভালো ভাবে কথা বলতে পারতেছো, যাক ভালো হলো, গলা ঠিক হয়ে দেখছি তোমার। 


কি ব্যাপার বারবার কথা কেটে যাচ্ছে কেনো, লুকাচ্ছে কি আমার কাছ থেকে। বড় চালাক প্রকৃতির মেয়ে তিনি, তা আমি খুব ভালো করে জানি। কি করতে চাইতেছে কে জানে, দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখা ছাড়া আমার আর কোন কাজ আছে বলে মনে হইতেছে না। 


কিছুক্ষন পর দুইটা ছেলে আর একটা মেয়ের আবির্ভাব হলো কোথা থেকে, তারা একটু পরপর চোখের কোনা দিয়ে আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছে কেনো, আমাকে এভাবে দেখার কি হলো। আমি কি হনুমানের পোশাক পরে আছি নাকি। আর আমাকে বাদ দিয়ে উদের সাথে কি এত কথা ওর। ভাবলুম আজকের দিনটা দুজন একা একা নিজের মধ্যে থাকবো, না কোথা থেকে তিন সাগরেদ জুটাইছে। এত জনের মাঝে আমাকে ডাকার কি দরকার ছিলো, আবার ডেকে নিয়ে পরিচয় করাই দিবো, সেটাও করতেছে না। 


- চলো এই বাসার ভিতরে আজকে আমাদের একটা দাওয়াত আছে, আমাদের এখন ভিতরে যেতে হবে। 


- কিসের দাওয়াত ? কার বাসা এটা ? আমাকে তো আগে বলা হয় নাই, হুট করে আমি অপরিচিতো কারো বাসায় মেহমান হতে পারবো না। তুমি যাও আমি বরং বাসায় যাই। 


- আরে আমার এক বন্ধুর বাসা, তোমাকেও যেতে বলা হইছে, বরং তুমি ত আজকে আমাদের প্রধান অতিথী, তোমাকে ছাড়া কিছু হবে না। চলো চলো আর দেরি করা যাবে না, যোহরের আজান দিলে আবার ওনি চলে যাবেন। 


- যোহরের আজান দিলে আবার কোথায় কে চলে যাবেন?


- আরে মানুষের নামাজ রোজা আছে না, ওনি নামাজ পড়তে যাবেন


- কিহ? কোন মুরব্বি মানুষ নাকি ? আমাকে খুলে বলো না কেনো ?


- আরে তুিম গেলেই তো দেখতে পাবা, এখানে দাড়ায়া পকপক করো না।


বাড়ির লোহার গেইট খুলে ভিতরে প্রবেশ করালাম, একটা অফিসের মতো ঘর, তাতে কয়েকটা টেবিল। একটা বড় টেবিল, তার পিছনে চেয়ারে বসে আছেন বড়বড় সাদা দাড়ি টুপি ওয়ালা এক হুজুর। দেখে সালাম দিতে চাইলাম, কিন্তু আমার আগেই আমার সাথে আসা আরো তিন জন তার সাথে কথা বলা শুরু করে দিছে। তখনি টের পাইলাম, এইটা তো কাজি অফিস। আমাকে এখানে ধরে আনা হয়েছে কেনো। এখানে তো বিয়ে করার জন্য আসে মানুষ। তাহলে কি আজ কারো বিয়ে। আমার সাথে আসা ঐ মেয়ের সাথে কি এখানকার ঐ দুই ছেলের কোনটার সাথে বিয়ে হবে নাকি। আরে আমাকে বললেই তো পারতো যে সাক্ষী হতে হবে। এত ঢাকাঢাকির কি আছ। আমি পাশ ফিরে দেখলাম আমার পাশের চেয়ারেই ও বসে আছে। প্রশ্ন করলাম। 


- আজকে কি কারো বিবাহ ? ওরা কি বিয়ে করতে আসছে ? তুমি আমাকে আগে বলবা তো, বেন্ড পার্টি আর ফুলের মালা নিয়ে আসতাম। এমন সাদামাটা বিয়ে হবে নাকি ওদের।


- হুম সাদামাটাই হবে, তোমার কপালে এর চাইতে ভালো লিখা নাই তো কি আর করবা তুমি বলো। 


- আমার কপালে কেনো লিখা থাকবে, আমি তো সিংহাসনে বসে বিয়ে করবো তুমি দেখে নিও। 


- হইছে, চুপ থাকো, আর নিজের নাম ধাম লিখে দাও এখানে। 


- আমার নাম কেনো লিখবো ? আমার কি বিয়ে নাকি ?


- হুম, তোমারি বিয়ে আজকে, আজকে তোমার আর আমার বিয়ে, গলা ঠিক আছে তো নাকি, বসে যায় নাইতো আবার ? কবুল বলতে পারবা তো, না বলতে পারলেও সমস্যা নাই, মাথা দুলাইয়ো তুমি।


আমি একবার আমার দিকে, তারপর কাজি সাহেবের দিকে, তারপর আবার ওর দিকে তাকাইলাম। কেমন ঘোমটা দিয়ে বৌ হয়ে বসে আছে। কি বলে আজকে এখন নাকি আমার বিয়ে, এখনি নাকি কবুল বলতে হবে। আরে একটা শিশু বাচ্চাকে এখাবে কেউ স্টোক করার মতো কথা বলে নাকি। কানে আর কিছু শুনতে পারছিলাম না, চোখে অন্ধকার দেখছিলাম, মোখে তালা লেগে গিয়েছে।  বাচার আর তো কোন রাস্তা দেখি না। তখন কাজি সাহেব গলা খারাকি দিয়া বলে উঠলো বলো বাবা কবুল বলো, বিসমিল্লাহ বলে তিনবার বলবা, আমার হেচকি উঠা শুরু হয়ে গেলো। সামনে রাখা পানির গ্লাস টা কে জানি আগায় দিলো, পানি খেতে গিয়ে পরে গিয়ে পান্জারি বোক ভিজে গেলা। গলা শুকিয়ে কাঠ। 


- বলো বাবা কবুল বলো, বিসমিল্লাহ,


- ক......ক......ক....কবু....


- কি ব্যাপার ছেলে তোতলা নাকি, বলতে পারছো না কেনো।


- না কাজি সাব বলতে পারবে, ওর গলা আজ একটু বসে গেছে ত।


ফোনের রিং বাজতেছে, মাথাটা ব্যাথা করতেছে। লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। উফ কি সাংঘাতিক, এতক্ষন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, ওফ ঘুম টা না ভাংলে এখনি বিয়ে হয়ে যেতো আমার। বাচা গেলো এবারের মতো। একি ফোনটা বাজতেছে কেনো? কার ফোন ? একি এইতো হেতাইনের ফোন। একটু আগেই তো ধরে বেধে বিয়ে করতে চাইছিলো এখন আবার কি বাকি।


- হ্যালো, গুড মরনিং। শুভ পহেলা ফাগুন।


- হুম শুভ সকাল, শুভ পহেলা ফাগুন, কি কটা বাজে, ঘুম ভাংছে আপনার, তারাতারি রেডি হয়ে রিকসা স্টেন্ডে চলে আসেন, আপনাকে নিয়ে আজকে একটা যায়গাতে যাবো, পান্জাবি পরে সেজে গুজে আইসেন। 


- একি আপনি আপনি করছে কেনো, যখনি আপনি আপনি করে তখনি ঘাপলা করে কোননা কোন। পান্জাবি পরে আবার কোথায় যাবো, আমার শরীর ভালো না, আসতে পারবো না, গলা ব্যাথা।


-হোক গলা ব্যাথা, মুসলমানদের গলার প্রয়োজন তেমন পরে না, একটু তেই কাজ হয়ে যায়। চলে আসো তারাতারি। 





   

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. নীল শাড়ি পরা মেয়েটা জুসসসসসসস, টসটসে একেবারে , আসো রং মাখবো

    উত্তরমুছুন

ধন্যবাদ আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য