টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি চলছে

বিশ্ব ইজতেমা


রাজধানীর টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে এগিছে চলছে ২০২০ সালের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি। এ উপলক্ষে মুসল্লিরা স্বেচ্ছায় কাজ করছে । প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা ময়দান প্রস্তত কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। আগত মুসল্লিরা ময়দানে মাটিকাটা, ময়লা আবর্জনা পরিস্কার, খুটি স্থাপন, সামিয়ানা তৈরি, চট বাধাইসহ বিভিন্ন কাজ করছে।


আগামী ১০ জানুয়ারি শুক্রবার শুরু হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ১২ জানুয়ারী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে। এরপর ৪দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব। গতবারের মতো এবারও প্রথম পর্বে মাওলানা জোবায়ের পন্থী মুসল্লিরা টঙ্গী ময়দানে ইজতেমার আয়োজন করবে। এরপর মাঝে চারদিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ অনুসারীরা ইজতেমার আয়োজন করবে।


গাজীপুর কালিয়াকৈর এলাকা থেকে স্বেচ্চায় কাজ করতে আসা মুসল্লি সানোয়ার ও মনির হোসেন বলেন, ফজরের নামাজ শেষে ইজতেমা ময়দানে এসে সবাই স্বেচ্চায় কাজ করছি, আখেরাতে কিছু ছোয়াব পাওয়ার জন্য কাজ করছি।


এ বিষয়ে র‌্যাব-১এর কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গতবারের মতো এবারও মুসল্লিদের নিরাপত্তায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গাজীপুর জিএমপি কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সভা হয়েছে।


মাওলানা জোবায়ের অনুসারী ময়দানের মুরব্বি ডা. কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ময়দানের সকল কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ওলামা মাশায়েক আলমীসুরার বিদেশী মেহমান সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, রাশিয়ারসহ বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা ময়দানের আশপাশে অবস্থান নিয়ে দিনের কাজ করছেন। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইজতেমার মাঠ প্রস্ততির কাজ করতে জামাতবন্দি হয়ে অনেক লোক আসছেন। 


ছুটির দিনগুলোতে মাঠ প্রস্ততির কাজে অতিরিক্ত আলেম ও মাদরাসার ছাত্ররাও অংশ নিচ্ছেন। এর আগে এত লোক কখনো কাজ করতে আসেনি বলেও জানান তিনি। প্রথম পর্বে ইজতেমায় সর্বোচ্চ সংখ্যক উপস্থিতির সম্ভাবনায় ইজতেমার জায়গা বাড়ানোর চিন্তা করছে মুরব্বিরা। সারাদেশ থেকে আলমি শুরার সাথীদের ব্যাপক উপস্থিতির বিষয়টি বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ইজতেমার মুরব্বিরা।


ইজতেমা মাঠের প্রস্ততির কাজের জিম্মাদার মোস্তফা ইসলাম আরও জানান, ‘ইজতেমার সাথীদের অবস্থানে পর্যাপ্ত স্থানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে, বাটা কোম্পানির মাঠ ও হুন্ডা ভবনের খালি অংশও ইজতেমার জন্য প্রস্তত করা হচ্ছে। যাতে আগত মুসল্লিদের মাঠে অবস্থানে বিঘ্ন না ঘটে। ইজতেমা সফল করতে গাজীপুর সিটি মেয়র জাহঙ্গীর আলম ও স্থানীয় এমপি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে।


গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবারও বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সেবায় সিটি কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ময়দানে বালি ফেলা, ময়লা আবর্জনা পরিস্কারসহ বিভিন্ন কাজে করছে সিটি কর্পোরেশন। ইজতেমা চলাকালীন সময়ে সিটির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী মুসল্লিদের সেবা প্রদানে ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকবে।


এ বিষয়ে গাজীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, গতবারের মতো এবারও জোবায়ের ও সা’দ অনুসারীরা দুই পর্বে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবে। আগত মুসল্লিদের সেবায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ