বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬০ জরুরী আইন সমূহ



১। ধারা নং ৩৪ : কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক একই উদ্দেশ্য সাধানকল্পে কৃত কার্যাবলী

ব্যাখ্যা: যখন কতিপয় ব্যক্তি একত্রিত হয়ে তাদের সকলের একই অভিপ্রায় সাধনকল্পে অপরাধমূলক কাজ সম্পাদিত করে, তখন অনুরূপ ব্যক্তিগণের প্রত্যেকেই উক্ত কাজের জন্য এইরূপে দায়ী হবেন যেন উক্ত কাজ উক্ত ব্যক্তি দ্বারা সম্পাদিত হয়েছিল।

২। ধারা নং ১৪৩ : বেআইনী সমাবেশের সদস্য হওয়ার শাস্তি।

ব্যাখ্যা: কোন ব্যক্তি যদি বেআইনী সমাবেশে যোগদান করে, তবে তাকে ছয় মাস পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অর্থ দণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত করা যাবে।

৩। ধারা নং ১৪৭ :  দাঙ্গার শাস্তি।

ব্যাখ্যা: কোন ব্যক্তি দাঙ্গার অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হলে, তাকে দুই বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম কিংবা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অর্থ দণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত করা যাবে।

৪। ধারা নং ১৪৮ :  মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া দাঙ্গা অনুষ্ঠানকরণ।

ব্যাখ্য: মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অথবা যে বস্তু অপরাধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করলে মৃত্যু ঘটাতে পারে তা কর্তৃক সজ্জিত হয়ে কোন ব্যক্তি দাঙ্গ করার অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হলে, সে ব্যক্তি তিন বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

৫। ধারা নং ১৪৯ : সাধারণ উদ্দেশ্যের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত অপরাধের জন্য বেআইনী সমাবেশের প্রত্যেক সদস্য দোষী। 

ব্যাখ্যা: যদি কোন বেআইনী সমাবেশে যোগদানকারী ব্যক্তি দ্বারা উক্ত বেআইনী উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন অপরাধ অনুষ্ঠিত হয়, অথবা উক্ত সাধারণ উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে অপরাধটি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে উক্ত বেআইনী সমাবেশের ব্যক্তিগণ জানত তা অনুষ্ঠিত হয়, তবে উক্ত অপরাধটি অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ে উজ বেআইনী সমাবেশে যোগদানকারী প্রত্যেক ব্যক্তি উক্ত অপরাধে অপরাধী হবে।

৬।  ধারা নং ১৭০:  ভুয়া সরকারী কর্মচারী বলিয়া পরিচয় দেওয়া।

ব্যাখ্যা:  কোন ব্যক্তি যদি কোন পদে অধিষ্ঠিত নয় বলে জানা সত্ত্বেও সে পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে বলে পরিচয় দেয় অথবা অন্য যে ব্যক্তি যে পদে অধিষ্ঠিত আছে নিজেকে সে পদে অধিষ্ঠিত সে ব্যক্তি বলে ছদ্মবেশ ধারণ করে এবং এইরূপ মিথ্যা ছদ্মবেশ ধারণ করে সে পদের অধিকার বলে কোন কাজ করে বা করতে চেষ্টা করে, তবে সে ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম করাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

৭। ধারা নং ৩০১ :  যে ব্যক্তির মৃত্যু অভীষ্ট ছিল সেই ব্যক্তি ভিন্ন অন্য কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটাইয়া নরহত্যা অনুষ্ঠান।

ব্যাখ্যা: কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন কার্য করে যা কর্তৃক মৃত্যু সংঘটনের ইচ্ছা বা উদ্দেশ্য তার ছিল অথবা যার দরুণ মৃত্যু সংঘটন হতে পারে বলে তার জানা ছিল এবং এই কার্য কর্তৃক সে এমন কোন ব্যক্তির মৃত্যু সংঘটন করে শাস্তিযোগ্য নরহত্যা করে, যার মৃত্যু সে কামনা করে নাই বা যার মৃত্যু হতে পারে বলে তার জানা ছিল না, তবে অপরাধী যে ব্যক্তির মৃত্যু সংঘটনের ইচ্ছা করেছিল, কিংবা যে ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে বলে জানত সে ব্যক্তির মৃত্যু সংঘটন করলে তার অপরাধটি যেরূপ হত, এই ক্ষেত্রেও সেরূপ হবে।

৮। ধারা নং ৩০২ :  খুনের শাস্তি। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি খুনের অপরাধ করে তবে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে, যাবজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অথ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

৯। ধারা নং ৩০৬ :   আত্মহত্যায় সহায়তাকরণ।

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি আত্মহত্যা করে, তবে যে ব্যক্তি আত্মহত্যায় সহায়তা বা প্ররোচনা দান করবে, উক্ত ব্যক্তি দশ বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে, এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

১০। ধারা নং ৩০৭ :  খুনের উদ্যোগ।

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি এমন উদ্দেশ্য নিয়ে বা এমন আশঙ্কা জানা সত্ত্বেও এমন অবস্থায় এমন কোন কার্য করে, যার ফলে মৃত্যু ঘটলে সে খুনের দায়ে অপরাধী সাব্যস্ত হবে, তবে উক্ত ব্যক্তি দশ বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে, এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে, এবং যদি অনুরূপ কাজের কর্তৃক কোন ব্যক্তিকে আঘাত করা হয়, তবে অপরাধী যাবজীবন কারাদণ্ডে অথবা ইতোপূর্বে যে সাজার উলেখ করা হয়েছে, সে দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

----------

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তির উদ্যোগ (Attempts by life convicts): যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত কোন ব্যক্তি যদি এই ধারায় উল্লেখিত অপরাধ করে এবং তার ফলে কেউ আহত হয়, তবে উক্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে।

১১। ধারা নং ৩০৯ :  আত্মহত্যা করিবার চেষ্টা। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে এবং অনুরূপ অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে কোন কার্য করে, তবে উক্ত ব্যক্তি এক বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অর্থ দণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

১২। ধারা নং ৩১২ :  গর্ভপাতকরণ।

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গর্ভবতী স্ত্রীলোকের গর্ভপাত করায়, এবং যদি সে গর্ভপাত সরল বিশ্বাসে উক্ত স্ত্রীলোকের জীবন বাচাবার উদ্দেশ্যে না করা হয়ে থাকে, তবে সে ব্যক্তি তিন বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে; এবং যদি স্ত্রীলোকটি শিশুর বিচরণ অনুভব করে, তবে সে ব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে, এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

১৩। ধারা নং ৩১৩ :  নারীর সম্মতি ব্যতিরেকে গর্ভপাত করান।

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি পূর্ববর্তী ধারায় বর্ণিত অপরাধটি সংশ্লিষ্ট স্ত্রীলোকের সম্মতি ছাড়া সম্পাদন করে-স্ত্রীলোকটি আসন্ন প্রসবা হোক বা না হোক- তবে সে ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা দশ বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে। 

১৪। ধারা নং ৩১৪ :  গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে স্মপাদিত কার্যের ফলে মৃত্যু। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি কোন গর্ভবতী স্ত্রীলোকের গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে কৃত কোন কাজের ফলে সে স্ত্রীলোকটির মৃত্যু ঘটায়, তবে সে ব্যক্তি দশ বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে, এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

যদি কাজটি সংশ্লিষ্ট স্ত্রীলোকের সম্মতি ছাড়া করা হয় (If act done without woman’s consent):-

যদি কাজটি সে স্ত্রীলোকটির সম্মতি ছাড়া করা হয়ে থাকে, তবে সে ব্যক্তি হয় যাবজীবন কারাদণ্ডে, কিংবা উপরোলিখিত দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

১৫। ধারা নং ৩২৩ :  স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দানের শাস্তি। 

ব্যাখ্যা: যদি কেউ ৩৩৪ ধারায় উল্লেখিত ক্ষেত্র ছাড়াই অপর কোন ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দেয়, তবে উক্ত ব্যক্তি এক বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা এক হাজার টাকা পরিমাণ অর্থ দণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

১৬। ধারা নং ৩২৪: স্বেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্র বা অন্য মাধ্যমের সাহায্যে আঘাত দান করা। 

ব্যাখ্যা: কোন ব্যক্তি যদি ৩৩৪ ধারায় বর্ণিত ক্ষেত্র ছাড়া অপর কোন ক্ষেত্রে, কোন গুলিবর্ষণের, ছুরিকাঘাতের বা কাটিবার যন্ত্র বা হাতিয়ার দ্বারা আঘাত করে, অথবা যে হাতিয়ার একটি অপরাধ সংঘটনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করলে মৃত্যু ঘটাতে পারে, সে অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে অথবা অগ্নি বা কোন উত্তপ্ত বস্তু দ্বারা আঘাত করে, অথবা কোন বিষ বা ক্ষয়কারী দ্রব্য দ্বারা আঘাত করে, অথবা কোন বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা আহত করে অথবা যে দ্রব্য শ্বাস টানিলে, ভক্ষণ করলে বা দেহের মধ্যে গ্রহণ করলে তা মানবদেহের পক্ষে ক্ষতিকর হয়, সে দ্রব্য দ্বারা আহত করে, অথবা কোন পশু দ্বারা আঘাত করে, তবে উক্ত ব্যক্তি তিন বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

১৭। ধারা নং ৩২৫ : স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত দানের শাস্তি। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি ৩৩৫ ধারায় বিহিত ক্ষেত্র ছাড়া অপর কোন ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত করে, তবে উক্ত ব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

১৮। ধারা নং ৩২৬ :  স্বেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্র বা মাধ্যমের সাহায্যে গুরুতর আধাত দান করা।

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি ৩৩৫ ধারায় বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যকোন ক্ষেত্রে কোন গুলিবর্ষণের, ছুরিকাঘাতের বা কাটার যন্ত্র বা হাতিয়ার দ্বারা গুরুতর আঘাত করে, অথবা যে হাতিয়ার দিয়ে একটি অপরাধ সংঘটনের জন্য এই হাতিয়ারটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ফলে মৃত্যু ঘটতে পারে, সে হাতিয়ার দ্বারা গুরুতর আঘাত করে, অথবা কোন বিষ বা ক্ষয়কারী দ্রব্য কর্তৃক গুরুতর আঘাত করে, অথবা কোন বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা গুরুতরভাবে আহত করে, অথবা যে দ্রব্য শ্বাস কর্তৃক গ্রহণ করলে, উদরস্থ করলে বা রক্তে গ্রহণ করলে তা মানবদেহের পক্ষে ক্ষতিকর হয়, সে দ্রব্য দ্বারা গুরুতর আহত করে অথবা কোন পশু দ্বারা গুরুতর আঘাত করে, তবে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা দশ বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্ৰম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

১৯। ধারা নং ৩৪১ :  অবৈধ বাধাদানের শাস্তি।

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি কোন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, তবে সে ব্যক্তি একমাস পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা পাচশত টাকা পর্যন্ত যেকোন পরিমাণ অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

২০। ধারা নং ৩৫৪ : কোন নারীর শালীনতা নষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে তাহাকে আক্রমণ ও তৎপ্রতি অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি কোন নারীর শীলতাহানির উদ্দেশ্যে তার উপর আক্রমণ করে বা অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, অথবা এইরূপ করার ফলে সংশ্লিষ্ট নারীর শীলতাহান হতে পাৰুে ন সত্ত্বেও তার উপর উপরোক্ত আক্রমণ বা অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, তবে সে ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

২১। ধারা নং  ৩৬৫ : কোন ব্যক্তিকে গোপনভাবে ও অবৈধভাবে অবরোধ করিবার উদ্দেশ্যে অপহরণ বা প্রতারণাপূর্বক হরণ। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি কাউকে গোপনে ও অন্যায়ভাবে অবরোধ করানোর জন্য অপহরণ করে, তবে সে ব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

২২। ধারা নং ৩৭৯ : চুরির শাস্তি। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি চুরি করে, তবে সে ব্যক্তি তিন বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

২৩। ধারা নং ৩৮০ :  বাসগৃহ ইত্যাদিতে চুরি। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন গৃহ, তাবু জলযানে চুরি করে যে গৃহ তাবু বা জলযান মানুষের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয় অথবা সম্পত্তি হেফাজতের জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে সে ব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

২৪। ধারা নং ৩৯৫ :  ডাকাতির শাস্তি। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি ডাকাতি করে, তবে উক্ত ব্যক্তি যাবজীবন কারাদণ্ডে অথবা দশ বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে, এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডনীয় হবে।

২৫। ধারা নং ৩৯৯ : ডাকাতি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণ।

ব্যাখ্যা : ব্যক্তি যদি ডাকাতি অনুষ্ঠানের জন্য কোনরূপ প্রস্তুতি গ্রহণ করে, তবে উক্ত ব্যক্তি দশ বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

২৬। ধারা নং ৪০২ :  ডাকাতি অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়া।

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি এই আইন পাস হওয়ার পরবর্তী কোনসময়ে ডাকাতি সংঘটনের উদ্দেশ্যে সমবেত পাচ বা ততোধিক ব্যক্তির অন্যতম হয়, তবে উক্ত ব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।

২৭। ধারা নং ৪০৬ :  অপরাধমূল বিশ্বাসভঙ্গের শাস্তি। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে, তবে সে ব্যক্তি তিন বৎসর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্ৰম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে। 

২৮। ধারা নং ৪২০ :  প্রতারণা ও সম্পত্তি সমর্পণ করিবার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করা। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি প্রতারণা করে এবং প্রতারিত ব্যক্তিকে অসাধুভাবে অপর কোন ব্যক্তিকে কোন সম্পত্তি অংশ বা অংশবিশেষ প্রণয়ন, পরিবর্তন বা বিনাশ সাধনে প্রবৃত্ত করে অথবা অসাধুভাবে প্রতারিত ব্যক্তিকে এমন কোন স্বাক্ষরিত বা সীল মোহরযুক্ত বস্তুর সমুদয় অংশ বা অংশবিশেষ প্রণয়ন পরিবর্তন বা বিনাশ সাধনে প্রবৃত্ত করে যা মূল্যবান জামানতে রূপান্ত রযোগ্য, তবে উক্ত ব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রমের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থদেওও দণ্ডিত হবে।

২৯। ধারা নং ৪২৭ : পঞ্চাশ টাকা পরিমাণ ক্ষতি করিয়া অনিষ্ট সাধন।

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি ক্ষতি সাধন করে এবং তদ্বারা পঞ্চাশ টাকা বা তদূৰ্ব্ব পরিমাণ অর্থের অনিষ্ট করে, তবে উক্ত ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে। 

৩০। ধারা নং ৪৪৭ :  অপরাধজনক অনধিকার প্রবেশের শাস্তি। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশ করে, তবে উক্ত ব্যক্তি তিন মাস পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা পাচশত টাকা পর্যন্ত যে কোন পরিমাণ অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

৩১। ধারা নং ৪৪৮ :  গৃহে অনধিকার প্রবেশের শাস্তি। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি গৃহে অনধিকার প্রবেশ করে, তবে উক্ত ব্যক্তি এক বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত যে কোন পরিমাণ অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

৩২। ধারা নং ৪৬১ :  অসাধুভাবে সম্পত্তি সম্বলিত আধার ভাঙ্গিয়া উন্মুক্ত করা। 

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি সম্পত্তি ধারণকারী কোন বদ্ধপাত্র বা যে বদ্ধপাত্রে সম্পত্তি আছে বলে তার বিশ্বাস, সে বদ্ধপাত্র অসাধুভাবে কিংবা ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে ভেঙ্গে উন্মুক্ত করে, তবে উক্ত ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, অথবা অর্থ দণ্ডে, অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

৩৩। ধারা নং ৫০৬ :  অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শনের শাস্তি।

ব্যাখ্যা : কোন ব্যক্তি যদি অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ করে, তবে সে ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অর্থ দণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।

 




  

  


 


 


 





 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ