বাংলাদেশ পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর (নিঃ) ৩৮ তম বহিরাগত ক্যাডেট এস আই দের পিএসআই পিরিয়ড চলছে তখনো। আমরা ২৭ জনের মতো সংযুক্ত আছি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিসে। আর ঠিক এই সময়ে আমাদের সামনে চলে আসলো ঈদুল ফিতর। গত দুটা ঈদ আমরা কেউ আমাদের পরিবারের সাথে পালন করতে পারি নাই বিধায় এবারের ঈদটা ছিলো আমাদের কাছে মহা আনন্দের। সবাই আবার আমরা আমাদের পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারবো। ঈদের কিছুদিন আগেই আমরা জানতে পেরেছিলাম যে আমাদের ঈদের ছুটি সবার মন্জুর হয়েছে চার দিন করে। এবার শুরু হলো জল্পনা কল্পনা, আমাদের কবে ছাড়বে। কারন এবারের ছুটি হলো পিএল ছুটি। যেদিন ছুটি শুরু হবে সেদিন যেতে হবে আমাদের। কিন্তু আমরা সবাই চাচ্ছিলাম আমাদের যেনো ছুটি শুরু হবার আগের দিন বিকালে আরওআই স্যার ছেড়ে দেন। কিন্তু তিনি আমাদের কথা দিয়ে কথা রাখলেন না। তিনি নিজে চলে গেলেও আমাদের যেতে দিলেন কোন এক কারনে, আমরা সবাই রেডি হয়ে আসলেও আমাদের বলা হলো আজ বিকেলে আর যাওয়া হবে না, আগামীকাল সকাল মানে ১ মে আমাদের ছুটি দেওয়া হবে এবং ৪ মে সন্ধায় আমাদের পুলিশ লাইনে হাজির হতে হবে।
আমরা
সবাই ঈদ পালন করা শেষে যথাসময়ে ফিরে আসতে পারলেও আমাদের একজন ফিরে আসতে পারে নাই। সে
এসে হাজির হয়েছে ৫ মে সকালে। যার কারনে তাকে লিখিত কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে পুলিশ লাইন
থেকে, এমনকি তার এক দিনের বেতন কর্তন করার জন্য বলা হয়েছে। সাবাই আমরা এসে হাজির হলেও
আমাদের কোন ধরনের ঈদের পার্টি হয়নি। তাই আমার কাচ্চি খোর বন্ধু নূর মোহাম্মদ একটি কাচ্চি
পার্টির কথা বলে এবং আমরা সবাই তাতে রাজি হয়ে যাই।
কাচ্চি
খাবার জন্য আমাদের প্রথম আকর্ষন ছিলো আগ্রাবাদের সুলতান ডাইনে। কিন্তু তাদের সাথে আমাদের
মিল হলোনা। তাদের লিস্টের কিছু সিংগেল কাচ্চি তারা দিতে অস্বিকার করায় আমরা তাদের বুড়ু
আংড়ুল দেখিয়ে কাচ্চি ডাইনে চলে গেলাম। ওখানে সিংগেল কাচ্চি ২৬০ করে পাওয়া যাচ্ছিল,
আমরা ৮ টা অর্ডার করলাম। সাথে ছিলো মজাদার বোরহানি, যা কাচ্চি খাবার স্বাদ টা আরো বাড়িয়ে
দিলো।
0 মন্তব্যসমূহ
ধন্যবাদ আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য