সকালে ঘুম থেকে উঠে থানায় গিয়ে একটু ঘুরঘুর করিতেছি।
তখনি দেখি ৯বম শ্রেনী পড়ুয়া এক মেয়ে ও তার মা খালা এসে খুবই সাংঘাতিক একটি অভিযোগ করে
বসে। সাথে সাথে ওসি বোয়ালখালী কে অবহিত করা হলে, উনি বিষয়টি খুবই সিরিয়াসলি নেন এবং
তাৎক্ষনাত অভিযান পরিচালনা করে সমস্ত আসামী কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ৯ম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থী
(১৪) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার
(৪ জুন) সকালে নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থীর মা এ ঘটনায় ৪জনের নামে বোয়ালখালী থানায়
মামলা দায়ের করেছেন। নির্যাতিত শিক্ষার্থী জানান, মায়ের সাথে অভিমান করে শুক্রবার
রাত ১০টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে গোমদণ্ডী ফুলতল এলাকায় যায়। সেখানে আলমগীর নামের
পরিচিত এক বন্ধুর সাথে দেখা হয় মেয়েটির। ফুলতলে আরো কিছু যুবক তাদের এতো রাতে অবস্থানের
কারণ জানতে চেয়ে অবরুদ্ধ করে। এরপর তাদের সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগেবোয়ালখালী ফায়ার
সার্ভিস স্টেশনের সামনের একটি কাঁচা সড়কের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর আলমগীরের
গলায় ধারালো ব্লেড ধরে জিম্মি করে রাখে। রাত ২টার দিকে যুবকরা মাদকদ্রব্য সেবন করে
এবং অটোরিকশায় থাকা স্কুল শিক্ষার্থীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ভোর সাড়ে তিনটারদিকে
স্কুল শিক্ষার্থীকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে যায়
যুবকরা। জানা গেছে ওই শিক্ষার্থীর পিতা প্রবাসে থাকেন। তারা দুই বোন। সকালে এ ব্যাপারে
শিক্ষার্থীর মা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বোয়ালখালী পৌরসদরের পূর্ব
গোমদণ্ডী ৪নং ওয়ার্ডের আলা উদ্দীন হাজি বাড়ীর মো, বাদশা মিয়ার ছেলে এমরান হোসেন
সাগর (১৯), ৬নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রুস্তম আলী বাছেকের ছেলে সানিউল্লাহ আলী রিমন (২০)
ও পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চান মিয়া সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ কফিল উদ্দিনের
ছেলে মো. কামাল উদ্দিনকে (২৬) গ্রেফতার করে। তবে এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৩নং আসামী
কধুরখীল নাপিতের ঘাটা এলাকার সায়মন (২৪) পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান
চলছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম। ওসি বলেন, এ
ঘটনায় ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ
ধন্যবাদ আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য