চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার সমুদ্র সৈকতের খানখানাবাদ পয়েন্টে সকাল
বেলায় জেলেরা মাছ ধরা শেষে সাগর থেকে নৌকা নিয়ে ফিরে আসলে সমুদ্র সৈকতে বালুর উপর একটি
লাশ দেখতে পায়। লাশ দেখতে পেয়ে তারা স্থানীয় খানখানাবাদ ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের
মেম্বার কে ফোনে জানালে মেম্বার ৯৯৯ এ কল করে পুলিশকে সংবাদ প্রদান করে। লাশ উদ্ধার
করার জন্য বাশখালী থানার বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ী থেকে এস আই তানভীর এর নেতৃত্বে একটি
দল দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যায়। ঘটনাস্থলে পৌছে তারা একটি ৭০ উর্ধো বয়স্ক
মহিলার লাশ উপর হয়ে সাগরের তীরে পরে থাকতে দেখে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা কালীন
সময়ে চারিদিকে লাশের খবর প্রচার হবার কারনে, পাশের বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুর এলাকা
থেকে কিছু লোক আসে এবং লাশ দেখে তারা জানায় যে এটি তাদের মায়ের লাশ।
উপস্থিত সনাক্তকারী ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে লাশ সনাক্তকারী ব্যাক্তি
জানায় যে, মৃতা মহিলা তার মা, মৃতের নাম কাজমা খাতুন (৭০), তিনি রত্নপুরের মৈজার
বাপের বাড়ির মৃত খাইর আহমেদ এর স্ত্রী। তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মানসিক রোগি। গত রাতে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে
যায়। তারপর অনেক খোজ করার পরেও তার কোন হদিস পাওয়া যায় নাই। মানসিক রোগি হবার
কারনে কাজমা খাতুন তার শরিরে কোন কাপড় রাখত না এবং তার বাড়িতে ফিরে আসার মতো কোন
বিবেক বুদ্ধি ছিলো না। পরবর্তিতে মৃতের ছেলের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়না তদন্তে
লাশ উপস্থিত মেম্বার দের সম্মুখে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার বাহারছড়া পুলিশ ফাড়ীর উপ পুলিশ পরিদর্শক
তানভীর জানায় যে, মৃত দেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়। পরবর্তিতে তার
পরিবারের লোকজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং মৃতা দীর্ঘদিন পাগল এবং ৭৫ এর উপরে বয়স
হবার কারনে লাশ বিনা ময়না তদন্তে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে দেওয়া হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
ধন্যবাদ আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য